‘পরানের গহীনে হাজার হাজার তারা ঘিরা আছে পুন্নিমা তোমার’

১. এই হিউম্যান প্ল্যানেট মানুষের দেহ আত্মা বা রুহ’য়ের সাময়িক বাহন মাত্র। দেহ নশ্বর, রুহ থেকে যায়। আত্মা হচ্ছে এক অপরিমেয় শক্তি বা এনার্জি। আর এনার্জির সাথে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত আবেগ। আবেগ হচ্ছে একধরনের গতি (Eᴍᴏᴛɪᴏɴs=Eɴᴇʀɢʏ ɪɴ Mᴏᴛɪᴏɴ) দেহের যাত্রা সাময়িক, আত্মার যাত্রা অপরিসীম। কারন মানুষের আত্মা বা পরান হচ্ছে এক ধরনের শক্তি,যা মহাবিশ্বের সকল শক্তির সাথে সুসংহতভাবে সংঘবদ্ধ।

২. একজন মানুষের আত্মা আগেও ছিল, পরেও থাকে, কিন্তু মৃত্যুর সাথে সাথে কীটপতঙ্গের ফার্স্টফুডের ন্যায় টেস্টি ট্রিটে পরিনত হয় এই দেহ। তাই দেহে নয়, পরানের গহীনে যখন কোন ইতিবাচক ইচ্ছার অভিপ্রায় জাগ্রত হয়, তখন তা বাস্তবায়িত করার জন্য সুপরিকল্পিত মহাবিশ্বের অন্যান্য সকল এনার্জী, বা শক্তি এক হয়ে যায়,ব্যতিব্যস্ত হয়ে পরে।’ᴡʜᴇɴ ʏᴏᴜ ᴡᴀɴᴛ sᴏᴍᴇᴛʜɪɴɢ, ᴀʟʟ ᴛʜᴇ ᴜɴɪᴠᴇʀsᴇ ᴄᴏɴsᴘɪʀᴇs ɪɴ ʜᴇʟᴘɪɴɢ ʏᴏᴜ ᴛᴏ ᴀᴄʜɪᴇᴠᴇ ɪᴛ.’ পরানের গহীনে যা চাওয়া হয়, তা দেয়ার জন্য বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের এই ব্যতিব্যস্ততাই Lᴀᴡ ᴏғ Aᴛᴛʀᴀᴄᴛɪᴏɴ. Rʜᴏɴᴅᴀ Bʏʀɴᴇ এর ᴘsᴇᴜᴅᴏsᴄɪᴇɴᴄᴇ বই Tʜᴇ Sᴇᴄʀᴇᴛ এ Lᴀᴡ ᴏғ Aᴛᴛʀᴀᴄᴛɪᴏɴ এর কথা প্রথম বলা হয়। Jɪᴍ Cᴀʀʀᴇʏ একবার Oᴘʀᴀʜ Wɪɴғʀᴇʏ কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন আমি কোন কিছু চাইলে প্রথমেই বিশ্বাস করি তা আমার কাছে আসবেই, এবং সত্যি সত্যিই তা গোচরে বা অগোচরে এসে যায়। কলবের ভিতরের আয়নায় আগে তা বসাতে হবে। Lᴀᴡ ᴏғ Aᴛᴛʀᴀᴄᴛɪᴏɴ কে আইনস্টাইন দেখেছেন ‘Iᴍᴀɢɪɴᴀᴛɪᴏɴ ɪs ᴇᴠᴇʀʏᴛʜɪɴɢ, ɪᴛ ɪs ᴛʜᴇ ᴘʀᴇᴠɪᴇᴡ ᴏғ ʟɪғᴇ’s ᴄᴏᴍɪɴɢ ᴀᴛᴛʀᴀᴄᴛɪᴏɴs.’ ইসলামে ‘নিয়তের’ কথা বলা আছে, বলা আছে স্রষ্টার কাছে কায়মনোভাবে চাওয়ার কথা।

৩. এই যেমন ধরুন আপনি একটা কিছু হারিয়ে ফেলেছেন,অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও পেলেন না, কিন্তু আপনার মন বলছে, বার বার বলছে, আপনি হয়তো পেয়ে যাবেন, দেখবেন আপনি সত্যি সত্যি পেয়ে গেছেন। ‘Wʜᴀᴛᴇᴠᴇʀ ʏᴏᴜ ᴛʜɪɴᴋ ᴀʙᴏᴜᴛ ʏᴏᴜ ᴅʀᴀᴡ ɪᴛ ɴᴇᴀʀᴇʀ ᴛᴏ ʏᴏᴜ.’
কিন্তু সর্বক্ষেত্রে এটি সত্যি হয়না। কেন হয়না? গাফিলতি কোথায়? উত্তরটা অতি সহজ যেসব ক্ষেত্রে সত্যি হয়না, সেসব ক্ষেত্রে ইচ্ছাটা আসলে আত্মায় নয়, তৈরি হয়ে দেহে। সাময়িক সময়ের চাকচিক্যময় দেহ ছলচাতুরী করবে এটাই স্বাভাবিক।

৪. সে জন্য চাওয়ার মতো চাইতে হবে, জানতে হবে কিভাবে চাইতে হবে। ইতিবাচক চাওয়াকে নিজের বিশ্বাস ব্যবস্থাপনার অংশ করতে হবে, জীবনাচরণের অবিচ্ছেদ্য অংগ বানাতে হবে। পাপে জন্ম পাপে বৃদ্ধি নয়, জন্ম যথায় তথায়, সৎ চিন্তায় সমৃদ্ধি~এরকম ব্যঞ্জনাকে নিউরনের হরমোন বানাতে হবে। যত পাবেন, তত কৃতজ্ঞ হবেন, তত অধিকতর পাবেন, কারন মানবাত্মা একা নয়, মহাবিশ্বের অনেক শক্তির সমন্বয়ে এক সুসংহত সুপরিকল্পিত দূর্বোধ্য গাধুনির এক অনন্য সারথী। মানুষের আত্মাই মাধ্যাকর্ষণের মধ্যমনি। তাই মানবাত্মায়, পরানের গহীনে যখন কোন ইতিবাচক প্রত্যাশা প্রোথিত হয়, তখন অন্যান্য সকল শক্তি তা দেয়ার জন্য মুখিয়ে থাকে।

জন্ম যথায় তথায়, সৎ চিন্তায় সমৃদ্ধি- আসুন পরানের গহীনে দৃঢ় প্রত্যয়ে চাইতে থাকি অমৃত শান্তি। আহ, শান্তি!!

@মাহফুজ মাসুম

Leave a Comment